বিশেষ খবর



Upcoming Event

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বুদ্ধিমানরাও প্রতারিত হন

ক্যাম্পাস ডেস্ক বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি
img

আজকাল শুধু নিরক্ষর নয় বরং অনেক সময় উচ্চ শিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও নামি-দামি মানুষও সচেতনতার অভাবে প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন। আজকের লেখাটি সমাজে ক্রমবর্ধমান এক সাধারণ নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্লেখ করার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, যে টেকনিকের কাছে প্রতিনিয়ত পরাজিত হচ্ছেন সমাজের ছোট-বড় এমনকি উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা। আশা করি এটি আমাদের সবাইকে একটু হলেও সচেতন করবে। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে এমন একটি মনস্তাত্তি¡ক কৌশল যার মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত বা প্রতারিত করে গোপন তথ্য, সিস্টেমে প্রবেশাধিকার কিংবা আর্থিক ফায়দা অর্জন করা হয়। এতে জটিল প্রযুক্তি নয়- ব্যবহার করা হয় মানুষের বিশ্বাস, আবেগ ও সরলতা। যেমন- আমার এক প্রতিবেশী, যিনি উচ্চ শিক্ষিত ভদ্রলোক। চলতি বছরের ১৩ মে উনার নম্বরটি একটি অজানা ডযধঃংঅঢ়ঢ় গ্রæপে যুক্ত করা হয়। একইদিন বিকেলে ‘পুলিশ হেড কোয়ার্টার’-এর একজন অফিসার পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাকে ফোন দেন। তিনি বলেন, ‘আপনি আমাদের অফিশিয়াল গ্রæপে ঢুকে পড়েছেন এবং আমাদের কথোপকথন জেনে যাচ্ছেন; দ্রæত বের হন, নইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ হঠাৎ পুলিশ পরিচয়ের ফোন পেয়ে মতিন সাহেব বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। কীভাবে গ্রæপ থেকে বের হতে হবে জানতে চাইলে অপর প্রান্তের ব্যক্তি নির্দেশ দেন মূলত ডিভাইস ক্লোন বা লিংক করার জন্য ‘কিভাবে ওটিপি জেনারেট করতে হয়’! তারপর আমার প্রতিবেশীর অজান্তেই তার মেয়ে ওটিপি শেয়ার করে নিজের ডযধঃংঅঢ়ঢ় নম্বর ক্লোন করার সুযোগ করে দেন। পরবর্তীতে প্রতারকরা তার পরিচয়ে বিভিন্ন কন্ট্রাক্টে বার্তা পাঠিয়ে বিপদের কথা বলে টাকা চাইতে থাকে। এছাড়া আরও অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। যেমন- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ভিপি পদে থাকা একজন কর্মকর্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে ইলিশ মাছ কিনতে চেয়েছিলেন। প্রতারকরা একটি ভুয়া লিংক বা অজানা বিক্রেতার পরিচয় ব্যবহার করেছেন। বিকাশে টাকা পাঠানোর পর, ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। হোয়াটসআপ ক্লোনের এমন ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে করণীয় (প্রাধান্যক্রমে)- ১. আপনার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অন্য কোনো ডিভাইস লিংক করা থাকলে অতিসত্বর সেটা রিমুভ করুন। এটি করতে পারবেন ওপরের ডান কোণের তিনটি ডট (?) এ ক্লিক করে লিংকড ডিভাইস অপসন থেকে। ২. সিম অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন: সন্দেহ হলে অপারেটরের হটলাইনে কল করে সিম বøক বা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করুন। ৩. হোয়াটসআপ সাপোর্টে রিপোর্ট করুন: তাদের ই-মেইল করুন ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ@যিধঃংধঢ়ঢ়.পড়স অথবা সেটিংস থেকে কন্ট্রাক্ট অপসন গিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন। ৫. সব অনলাইন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন: (ই-মেইল, ব্যাংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি)। ৬. অন্যদের সতর্ক করুন: আপনার নম্বর থেকে ভুয়া মেসেজ গেলে কন্ট্রাক্টদের জানিয়ে দিন- ‘আমার নম্বর ক্লোন হয়েছে, কেউ টাকা চাইলে তা উপেক্ষা করুন।’ ৭. ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জানান: সন্দেহজনক কোনো লেনদেন হলে অবিলম্বে ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। ৮. প্রমাণ সংরক্ষণ করুন: কল লগ, স্ক্রিনশট, মেসেজ, গ্রæপের নাম ইত্যাদি রাখুন- অভিযোগে সহায়ক হবে। ৯. সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করুন: স্থানীয় থানায় এউ/ঋওজ করুন এবং প্রমাণ সংযুক্ত করুন। ১০. সব ডিভাইস/অ্যাকাউন্ট সেশন পর্যালোচনা করুন: এড়ড়মষব, ঋধপবনড়ড়শ, ডযধঃংঅঢ়ঢ় -অচেনা সেশন থেকে লগআউট করুন। সবসময় মনে রাখুন * কখনো ওটিপি বা ভেরিফিকেশন কোড কাউকে দেবেন না। * ফোন বা সিম হারালে সঙ্গে সঙ্গে সিম বøক করুন। * প্রোফাইল তথ্য (জন্মতারিখ, ব্যক্তিগত বিবরণ) সীমিত রাখুন। * নিয়মিত ব্যাকআপ ও নিরাপত্তা সেটিংস আপডেট করুন। * সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে মাল্টিফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (২ঋঅ) চালু রাখুন।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img