মানব জাতি ধ্বংসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর জন্য মানুষ নিজেরাই দায়ী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক অনেক নতুন কৌশল অবলম্বন করছে, যা মানব জাতির ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। বিবিসি’র রিথ বক্তৃতায় জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সতর্ক করে দিয়ে এসব কথা বলেন। ওই বক্তৃতা ছিল কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে গবেষণা এগিয়ে নেয়ার ইস্যুতে। তবে বক্তৃতা শেষে শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হকিং বিশ্ববাসীর ওপর নেমে আসা মানবসৃষ্ট এই ঝুঁকির কথা বলেন। ধ্বংসাত্মক কৌশল হিসেবে হকিং এ ক্ষেত্রে পরমাণু যুদ্ধ, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জেনেটিক প্রকৌশলের মাধ্যমে প্রাণঘাতী ভাইরাস সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন। এসব প্রাণবিধ্বংসী নিজস্ব লক্ষ্য যেমন অনেক দেশ অর্জন করেছে, তেমনি অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে আছে আরও অনেক দেশ।
হকিং বলেন, অহঙ্কারী এই মানব জাতি ভাবছে, একসময় এই গ্রহের বাইরে অন্য কোথাও তারা আবাস গড়তে সফল হবে। আর এ পথেই মানবজাতি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক বছর সময়সীমায় পৃথিবীর ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এই সময়সীমা যতই বাড়ে, ততই এই ঝুঁকির মাত্রা বাড়তে থাকে। আজ থেকে এক হাজার বা দশ হাজার বছর আগের কথা যদি বিবেচনা করি, তাহলে পৃথিবীর ধ্বংসের আশঙ্কা এতই বাড়ে যে, তা আর আশঙ্কা থাকে না। নিশ্চিত একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আশা করা যায়, এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আমরা মহাশূন্যে এবং অন্যান্য নক্ষত্রে ছড়িয়ে পড়ব। তাই তখন পৃথিবীর ধ্বংস মানব জাতির ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। তবে তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, সত্য হলো, মহাশূন্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আবাসস্থল গড়ে তুলতে আমাদের আরও শতাধিক বছর লাগবে, আর এই সময়সীমার মধ্যে খুবই সাবধানে থাকতে হবে।