ঢাকা সফররত শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী কৈলাস সত্যার্থী বলেছেন, শিক্ষা খাতে এক ডলার ব্যয় করলে ২০ বছর পর সেখান থেকে ১৫ গুণ রিটার্ন (প্রাপ্তি) আসে। তাই দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানো উচিত। এ জন্য আসন্ন বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পৃথক একটি অনুষ্ঠানে তিনি মেয়েদের বিয়ের বয়স না কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই নোবেলজয়ী সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষা থেকে প্রাপ্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ খাতে বিনিয়োগের ওপর জোর দেন। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
কৈলাস সত্যার্থী বলেন, যেকোনো দেশের শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ালে সেটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয় তা জিডিপি’র মাত্র ২ শতাংশ, সাংবাদিকদের এমন তথ্যে কৈলাস সত্যার্থী বলেন, ‘বাজেটে শিক্ষা খাতে ও তরুণদের জন্য ব্যয় বাড়ানো উচিত। তরুণরাই সমাজের চালিকাশক্তি। আর শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে কৈলাস বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছি।’
কৈলাস সত্যার্থী বলেন, শিক্ষায় বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলে শিক্ষায় অর্থায়নকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। আর যখন এর সঙ্গে তরুণরা জড়িয়ে পড়ে তখন তাকে আরও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মোকাবেলা করতে হবে। পাশাপাশি নতুন চিন্তার উদ্ভাবন ঘটাতে হবে, যা একটি বৈশ্বিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, শিক্ষায় উন্নতি ছাড়া বাংলাদেশের ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য যথাযথ কারিকুলাম, কোয়ালিটি নিশ্চিত করা, অর্থায়নকে গুরুত্ব দিতে হবে।
শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয় নয়, সব ধরনের বিভাগের মধ্যে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় ঘটাতে হবে। শিক্ষার লক্ষ্যপূরণে যেমন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত তেমনি পরিবেশ নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও ভূমিকা থাকে।