বিশেষ খবর



Upcoming Event

মডার্ণ হারবাল এডভান্স লিডারশিপ রিকগনিশন অনুষ্ঠানমালা এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আলোচনা সভা

ক্যাম্পাস ডেস্ক প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
img

মডার্ণ হারবাল গ্রুপ অডিটোরিয়ামে ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিম, নিসিন্দা, কাঁচা হলুদ ও ঘৃতকুমারীর কার্যকারিতা’ বিষয়ক আলোচনা সভা ও এমএক্সএন লিডারদের বর্ণাঢ্য রিকগনিশন অনুষ্ঠানমালা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু। প্রধান আলোচক ছিলেন হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণার কিংবদন্তি মডার্ণ হারবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ আলমগীর মতি।

মডার্ণ হারবাল ফুড এর চিফ এডভাইজার ও সিপিএস ফোরামের সভাপতি ডা. মোঃ নিয়ামুল বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল করিম, এনডিসি; এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান মোঃ হারুন-উর-রশিদ, সিআইপি; মডার্ণ হারবাল গ্রুপের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) খন্দকার ফরহাদ হোসেন।

পবিত্র কুরআন শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মডার্ণ হারবাল গ্রুপের ডিজিএম রুহুল কুদ্দুস।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিগণকে পুষ্পমাল্যে বরণের পর সিপিএস লিডারদের ক্রেস্ট ও স্যুভেনির অর্পণ করা হয়। এসময় করতালিতে ও ফুলেল শুভেচ্ছায় মুখরিত হয়ে উঠে মঞ্চস্থল। পুরো অনুষ্ঠানজুড়েই তরুণদের উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস ছিল লক্ষ্য করার মতো। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মোটিভেশনাল ট্রেনিং দেয়া হয় মডার্ণ হারবাল গ্রুপের কর্মীদের। মোটিভেশনাল ট্রেনিং পরিচালনা করেন মোঃ নিয়ামুল বাশার, সিপিএস, এসএসটি ট্রেইনার এন্ড মোটিভেটর, সভাপতি, সিপিএস ফোরাম, চীফ এডভাইজার, এমএক্সএন মডার্ণ হারবাল ফুড লি.; মোঃ রুহুল কুদ্দুস, ডিজিএম মডার্ণ হারবাল গ্রুপ প্রমুখ। ট্রেনিং সেশনেও করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে মডার্ণ হারবালের অসংখ্য কর্মী উপস্থিত ছিলেন জ্ঞান অর্জনের জন্য, পুরো পরিবেশ ছিল আনন্দমুখর। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিপিএস ফোরামের সভাপতি, এসএসটি ট্রেনার এন্ড মোটিভেটর নিয়ামুল বাশারের স্বাগত বক্তব্যের পর প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁদের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সন্নিবেশিত হলো।

প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি

প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, আমরা যে বছরটিতে এই অনুষ্ঠান করছি, সেটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। যে মানুষটির জন্ম না হলে আজকে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারতাম না, যে মানুষটির জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না, যে মানুষটির জন্ম না হলে আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেতাম না, যে মানুষটির জন্ম না হলে আমরা পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারতাম না, সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আজ আমি কিছু কথা বলবো। বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আমাদের দেশের কিছু বিপথগামী সামরিক কর্মকর্তা এবং কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনৈতিক নেতা ষড়যন্ত্র করে তাঁকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়া হয়। একুশটি বছর আমরা সামরিক শাসনের অধীনে ছিলাম। দেশে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আজকে আপনারা এখানে যেভাবে একটি সুন্দর পরিবেশে আলোচনা সভা করছেন, তখন কিন্তু সে সুযোগ ও পরিবেশ ছিলো না। মানুষের কথা বলার সুযোগ ছিলো না। একুশ বছর মানুষ মুখ ফুটে মনের কথা বলতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, তখন অনেক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। সামরিক সরকারের প্রতিভূরা মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতিবিদদের নাজেহাল করেছে। অনেক রাজনীতিবিদকে রাতের অন্ধকারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির ধারায় বেগবান করে এগিয়ে নিতে শুরু করলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে তাঁকে পরেরবার ক্ষমতায় আসতে দেয়া হলো না। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে তিনি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে আজ চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের গতিশীল ধারায় এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, চিকিৎসা খাতও সেই বেগবান ধারায় এগিয়ে চলছে। মডার্ণ হারবাল সেই এগিয়ে চলার এক অভিযাত্রী। বাংলাদেশে কোনো চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। তিনি অনেক মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছেন। আমাদের নেত্রকোনায়ও করেছেন। একটি জাতি সুস্থ না থাকলে সে জাতি উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যেতে পারে না। সে জাতির কর্মস্পৃহা থাকে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলেছেন। তিনি আরও বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে। এই ভয়ংকর করোনা মহামারীর মধ্যেও পাঠ্যবইয়ের কাজ চলছে। ৩৫ কোটি বই আমরা আগামী জানুয়ারীতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব ইনশাল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য এটা সম্ভব হচ্ছে। আজকে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে, যেনো এদেশের একটি শিশুও অশিক্ষিত না থাকে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্তও বৃত্তি দেয়া হচ্ছে, মেয়েদের বেশিহারে দেয়া হচ্ছে। কেননা, নারীরা পিছিয়ে থাকলে এদেশের প্রকৃত উন্নয়ন হবে না। সেজন্য এই সরকার নারীশিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধান অতিথি মোঃ আশরাফ আলী খান বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে দুঃস্থ অসহায় প্রবীণদের জন্য বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছেন। আজকে তাঁর নির্দেশে চা বাগানের শ্রমিকদেরও ভাতা দেয়া হচ্ছে। এভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাচ্ছেন সবাইকে প্রতিষ্ঠিত করতে। করোনা শুরু হওয়ার আগে তিনি বলেছেন, সারা দেশের ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকল বয়স্কদের প্রবীণভাতা দেয়া হবে। ১১২ টি উপজেলায় তিনি বয়স্ক ও বিধবাদের শতভাগ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এই ভাতা দেয়া হবে। এর ফলে সারাদেশের সকল দুস্থ-অসহায় প্রবীণদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত হবে। এভাবে আজকে পুরো দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা কেউ কি কোনোদিন চিন্তা করতে পেরেছি যে, ঢাকায় মেট্রোরেল হবে? আজকে মেট্রোরেল দৃশ্যমান সত্য এক বাস্তবতা! মার্চে যদি করোনা মহামারী শুরু না হতো, তাহলে আমরা ইতোমধ্যে আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম। এই করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ স্তিমিত হয়ে পড়েছে। এখন আবার সেগুলো চালু করা হচ্ছে। কাজেই মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এগুলোর মাধ্যমে দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার অনেক সুযোগ ও ক্ষেত্র তৈরি করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উন্নত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আজকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াতে আমি নেত্রকোনায় বসে অনেক কাজ করতে পারছি। অনলাইনে আমি এখন ফাইলও অনুমোদন দিতে পারছি। সব কাজ এখন অনলাইনে চলছে। কোনো কাজ এখন আর বন্ধ নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ আজ অনেকাংশে বাস্তবরূপ লাভ করেছে। উন্নয়নের এ অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে তাঁর নেতৃত্বে এদেশ অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সুউন্নত স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে। মডার্ণ হারবালের কার্যক্রম প্রসঙ্গে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী খসরু বলেন, হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণায় মডার্ণ হারবাল এদেশে নবযুগের সুচনা করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর এই হারবাল আন্দোলনের অগ্রপথিক, এদেশে হারবাল আন্দোলনের কান্ডারী, কিংবদন্তি হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতি। তাঁর সুদক্ষ ও সুযোগ্য নেতৃত্বে মডার্ণ হারবাল আজ এদেশে নেতৃস্থানীয় হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁর দূরদর্শী পরিকল্পনায় মডার্ণ হারবাল সারাদেশে লক্ষ-কোটি মানুষের সুচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় গাছ-গাছালির মাধ্যমে প্রচলিত হাজার বছরের সুপ্রাচীন ভেষজ চিকিৎসার ইতিহাস, তা আজ সগৌরবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী ও বেকার যুবকদের তিনি আজ মডার্ণ হারবালের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। লাখো অসহায় পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তাঁর এই সুমহান কর্মপ্রচেষ্টা এদেশের হারবাল জগতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেন, আল্ল­াহ মানুষ সৃষ্টির আগে গাছ সৃষ্টি করেছেন আর গাছের মধ্যে দিয়েছেন নিরাময় ক্ষমতা। প্রাচীনকালে মানুষ গাছের এই ভেষজ নিরাময় ক্ষমতা ব্যবহার করে রোগের চিকিৎসা করেছে। আমাদের দেশেও একসময় ভেষজ চিকিৎসাব্যবস্থা খুব উন্নত ছিলো। শক্তি ও সাধনা ঔষধালয়ের মতো বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল, কিন্তু এলোপ্যাথিক ওষুধের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতায় ঐসব প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে পড়ে। তবে এলোপ্যাথি দ্রুত কাজ করলেও এর নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে হারবাল ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেমন নেই, কেননা এগুলো প্রাকৃতিক। দামেও সস্তা, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। তাই ডা. আলমগীর মতি প্রতিষ্ঠিত মডার্ণ হারবালের শত শত ভেষজ ওষুধ এদেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি। সেই সাথে মডার্ণ হারবালের এমএক্সএন’র বিপণনকর্মীরা এদেশের ঘরে ঘরে আধুনিক বিপণন ব্যবস্থার মাধ্যমে হারবাল চিকিৎসা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করি। আমি কিংবদন্তি হারবাল গবেষক ডা. আলমগীর মতি এবং মডার্ণ হারবালের উত্তরোত্তর উৎকর্ষ ও সমৃদ্ধি কামনা করি।

প্রধান আলোচক হারবাল গবেষণা ও চিকিৎসার জীবন্ত কিংবদন্তি ডা. আলমগীর মতি

প্রধান আলোচক মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা.আলমগীর মতি বলেন, আমি একজন গাছ-পাগল মানুষ, অক্সিজেন-পাগল মানুষ। মুক্তপ্রকৃতি আমার ভালো লাগে। কিন্তু এই ঢাকা শহরে অক্সিজেন কম, লোক বেশি। আমি প্রাণ দিয়ে গাছপালা, লতা-পাতা ইত্যাদি ভালোবাসি। বাড়ির পাশে ঘরের আঙ্গিনায় যদি আমরা গাছ লাগাতে পারি, তাহলে এদেশের মানুষের রোগমুক্তি সহজ হবে। যার নেই সুখ, তার হয় অসুখ। আল্ল­াহতায়ালা যত অসুখ দিয়েছেন, সব অসুখের ওষুধ দিয়েছেন প্রকৃতির মধ্যে। তাই আমাদের প্রকৃতির চিহ্ন বা সাইন অব নেচার জানতে হবে। এজন্য পড়াশোনা করতে হবে, প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। প্রকৃতিকে জানলে, প্রকৃতিকে বুঝলে প্রাকৃতিক চিহ্নের মাধ্যমে কোন রোগের জন্য কোন জিনিসটা নিরাময় হিসেবে কাজ করে, তা জানা সহজ হবে। আমি সারাজীবন সেই জানার চেষ্টাটাই করে এসেছি। আর সেটা সারাদেশের সব মানুষের মধ্যে ওষুধ, পথ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে এই মডার্ণ হারবাল প্রতিষ্ঠা করেছি। তিনি আরও বলেন, আল্লাহতায়ালাকে আমরা ভালোবাসি। আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা আল্ল­াহর। সামান্য সর্দি-জ্বর ভালো করার ক্ষমতাও কিন্তু আমাদের নেই। আল্ল­াহ চাইলে তবে রোগ ভালো হয়। আমাদের মধ্যে কোনো গুণ নেই। সব গুণের মালিক মহান আল্ল­াহপাক। মানুষ সৃষ্টির পাঁচ হাজার বছর পূর্বে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্ল­াহ ঔষধি গাছ সৃষ্টি করেছেন। আমার আম্মা বলে গেছেন, ‘গাছ তোমাদের না, গাছ আল্ল­াহর। কোনো তালবাহানা করে একটি টাকাও রোজগার করবে না। তোমার মায়ের দোয়া তাহলে সাথে থাকবে না।’ তাই সবসময় মায়ের দোয়ার জন্য আমি কাজ করেছি। আল্ল­াহকে স্মরণ করে কাজ করেছি। রোগ দেন আল্ল­াহ, রোগ সারান আল্ল­াহ। মানুষ নিমিত্তমাত্র। কাজেই মানুষের কোনো কৃতিত্ব নেই, সকল কৃতিত্ব আল্ল­াহ তায়ালার। ডা. আলমগীর মতি বলেন, এক একটা গাছের এক একটা অংশ ঔষধের কাজে লাগে। আবার কিছু কিছু গাছ আছে, সব কিছুই ঔষধের কাজে লাগে। যেমন- নিমগাছের সবকিছুই ঔষধের কাজে লাগে। সেজন্য নিমগাছকে গ্রামের ডাক্তার নামে ডাকা হয়। একটা গ্রামের ভেতর একটা নিমগাছ থাকলে শুধু নিমগাছের বাতাসেই অনেক রোগ আরোগ্য হয়। সেজন্য আমাদের নিমগাছের জন্য ভালোবাসা থাকতে হবে। আমরা যদি বিনামূল্যে আরোগ্য পেতে চাই, তাহলে এক্ষেত্রে নিমগাছ হবে অগ্রগণ্য। কেননা, নিমগাছের দাঁতনে যদি আপনি দাঁত ঘষেন; তাহলে আপনার দাঁতে কোনোদিন পোকা হবে না। আবার, চোখ হলো মানুষের জীবনের অর্ধেক। দাঁত থাকতে মানুষ যেমন দাঁতের মর্যাদা বোঝে না, চোখ থাকতেও মানুষ তেমন চোখের মর্যাদা বোঝে না। অন্ধ হলে তখন মানুষ জগতের আলো যে কতো মূল্যবান, তা বুঝতে পারে। আর এই চোখের সাথে সাদৃশ্য আছে গাজর, লিচু ইত্যাদির। এইসব সাদৃশ্যই সাইন অব নেচার বা প্রাকৃতিক স্বাক্ষরের মূলকথা। হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণায় সফল হতে গেলে এগুলো অবশ্যই জানতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জানি পেঁপে খেলে জন্ডিস ভালো হয়ে যায়। ইউরোপের মানুষ বলে, দই বা ইয়োগার্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এক কেজি দইয়ে ২৮ থেকে ৩০ কোটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। দই হজম ক্ষমতা বাড়ায়। দই টক হোক আর মিষ্টি হোক, ক্যান্সার দমন করে। মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার। লিভার ভালো থাকলে হজম ক্ষমতা ভালো থাকবে, শরীরও ভালো থাকবে। একটা নিমগাছ শরীরের নয়টা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সুরক্ষা দেয়। তাই আমাদের জীবনে নিমগাছের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে করোনা চিকিৎসায় নিম, নিসিন্দা, কাঁঁচা হলুদ, ঘৃতকুমারী ইত্যাদি হতে পারে অত্যন্ত কার্যকরী হারবাল। কেননা এগুলো প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক গুণসম্পন্ন ভেষজ। করোনার নির্মূলে এসব ভেষজের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে, যাতে মানুষ এসবের ব্যাপক ব্যবহার করে উপকৃত হতে হতে পারে। আমাদের যেসব ঔষধ-পথ্যে নিম, নিসিন্দা, কাঁচা হলুদ, ঘৃতকুমারীর উপাদান আছে, এই করোনাকালে সেগুলোর বিতরণ ও ব্যবহার বাড়াতে হবে। যারা গাছগাছালি সত্যিকারভাবে ভালোবাসে, তারা কখনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না। আমরা মানুষেরা বিভিন্ন পশুপাখির কাছ থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞান শিখি। নিম, নিসিন্দা, তুলসী খুবই প্রয়োজনীয় ভেষজ। অথচ আমরা এগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে অবহিত নই। যেমন- তুলসীগাছ, লেবু ইত্যাদিতে সামান্য হলেও বিদ্যুৎ আছে, অপার সম্ভাবনা রয়েছে এসবে। এগুলো আমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে। তাহলে আমরা সম্ভাবনাগুলো ব্যবহার করে উপকার লাভ করতে সক্ষম হবো।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল করিম এনডিসি
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল করিম এনডিসি বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা, মহান স্থপতি। তাঁর সুযোগ্য অগ্নিকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এই মুজিব জন্মশতবর্ষে স্বপ্ন হচ্ছে, একটি সুউন্নত ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ে তোলা। তাঁর স্বপ্ন পূরণ করবে এদেশের তরুণ সমাজ। আর আপনারাই সেই সমাজের প্রতিনিধি। আপনাদের হাত ধরেই এদেশ এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে, তাঁর উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। তিনি বলেন, মডার্ণ হারবালও একটি স্বপ্নের নাম। আর এই স্বপ্ন দেখেছেন এদেশে হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণার পথিকৃৎ ডাঃ আলমগীর মতি। মডার্ণ হারবালের মাধ্যমে তিনি এদেশে হারবাল আন্দোলনের বিপ্ল­ব সৃষ্টি করেছেন। বিলুপ্তপ্রায় হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণায় নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেছেন। আপনারা তাঁর এই মহান হারবাল আন্দোলনের সহযাত্রী। আপনাদের মাধ্যমে তিনি এই মহৎ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান। এদেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করতে চান। তাঁর এই আকাঙ্খা অবশ্যই মহৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, কাজেই এই মহৎ উদ্দেশ্য পূরণে আপনাদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, হারবাল চিকিৎসার কিংবদন্তি ডা. আলমগীর মতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপূরণের একজন মহান কান্ডারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন সুস্থ সবল প্রাণচঞ্চল এক বাঙালি জাতির। সেজন্য তিনি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করতে চান। ডা. আলমগীর মতিও হারবালের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চান। কাজেই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপূরণের সহযোগী। আর আপনারা তাঁর সুযোগ্য অগ্রসৈনিক। এদেশের পথে প্রান্তরে আপনারা হারবাল চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারিত করে যাচ্ছেন। তাই হারবাল আন্দোলনে আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা আন্তরিকভাবে চাইলে মানুষকে সত্যিকারভাবে হারবাল চিকিৎসার প্রতি প্রভাবিত করতে পারেন, আকৃষ্ট করতে পারেন -যার ফল হবে সুদূরপ্রসারী। এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় হবে বৈপ্ল­বিক পরিবর্তন। আপনাদেরকেই এই পরিবর্তন সাধন করতে হবে।

মডার্ণ হারবাল গ্রুপের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) খন্দকার ফরহাদ হোসেন

মডার্ণ হারবাল গ্রুপের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, পৃথিবীর আদিকাল থেকেই ট্রাডিশনাল বা ফোক মেডিসিন মানুষ ব্যবহার করতো। পশু-পাখি তাদের রোগ যন্ত্রণা নিবারণ করতো বিভিন্ন ভেষজপাতা, ফল-ফুল ইত্যাদি খেয়ে। আদিম মানুষ তাদের কাছ থেকে শিখেছে। সাপে-নেউলে যখন যুদ্ধ হয়, তখন নেউল বা বেজি কিভাবে ঔষধি গাছ দিয়ে সাপকে কাবু করে, তা দেখে মানুষ সাপ দমনের ভেষজ আবিস্কার করেছে। তিনি বলেন, আজ মডার্ণ হারবাল শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে নিজের স্থান করে নিয়েছে। নতুন বিক্রয়কর্মীদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো, আপনারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছেন; সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা লিডার হওয়ার জন্য আজকে এখানে এসেছেন। লিডার দু’ধরনের। এক, রাজনৈতিক দলের লিডার; দুই, কাজের মাধ্যমে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করার লিডার। আপনারা কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই আজ এখানে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, এখন আমি রাজশাহীর আফাজ পাগলের কথা বলবো। আফাজ পাগল ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা নিয়ে মেতেছিলেন। তিনি যখন প্রথম এলোভেরা রোপণ করেছিলেন, তখন মানুষ তাকে পাগল বলতো। আপনারা জানেন, আফাজ পাগলই বিশ্বে বাংলাদেশি হারবালের এখন সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক। তাঁর এলাকায় সব বাদ দিয়ে এখন শুধু হারবাল ভেষজ চাষ করা হয়। তাঁর এলাকায় তিনি প্রত্যেক বাড়িতে হারবাল শিল্প গড়ে তুলেছেন। এলাকার মানুষ হারবালের মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। তাই আপনারা ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাইলে আপনাদের স্বপ্নকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করুন। তারপর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন। তাহলে আপনারা অবশ্যই সফল হবেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরহাদ হোসেন বলেন, এই করোনা মহামারীর মধ্যেও হারবাল জগতের প্রাণপুরুষ ডা. আলমগীর মতি একদিনের জন্যও অফিসে আসা বন্ধ করেন নাই। তিনি বলেছেন, করোনায় বসে থাকার সময় নাই; নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে। তাঁর নেতৃত্বে আপনারা যদি মাঠে নেমে কাজ না করতেন, তাহলে আজকের এই সাফল্য অর্জিত হতো না; আজকের এই অনুষ্ঠানও হতো না। তিনি বলেন, আর একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের কিছু কথা বলতে চাই। তা হলো, সময়ের সদ্ব্যবহার। আজকের কাজ আজকেই করে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে আজকের কাজ এখনই শেষ করে ফেলতে হবে। আগামীকালের অপেক্ষায় আজকের কাজ ফেলে রাখা যাবে না। নাচতে নেমে যেমন ঘোমটা দেয়া যায় না, তেমনি কাজে নেমে দ্বিধা-সংকোচ করা উচিত না। তাই আপনারা সততা, নিষ্ঠা আর ধৈর্য্যরে সঙ্গে কাজ করে যাবেন। শুধুমাত্র কাজের মাধ্যমেই জীবনে সফলতালাভে সক্ষম হবেন। কাজই আপনাকে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দেবে। আপনাদের কাজের মাধ্যমেই মডার্ণ হারবাল একদিন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ওষুধ কোম্পানি হিসেবে অনন্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।

এশিয়ান টিভি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের চেয়ারম্যান হারুন-উর-রশিদ, সিআইপি

এশিয়ান টিভি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের চেয়ারম্যান হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘গাছ কথা বলে’-লোকমান হেকিম বলেছেন। আমি নিজেও দেখেছি যে, লজ্জাবতী লতা কিভাবে ছোঁয়া পেলেই গুটিয়ে যায়। এটাই তার কথা, এটাই তার ভাষা। আর এই ভাষা হারবাল চিকিৎসার কিংবদন্তি চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতিও বুঝতে পারেন। তাই তিনি আজ দেশের শ্রেষ্ঠ হারবাল চিকিৎসক। এদেশের মানুষের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন মডার্ণ হারবাল গ্রুপ। অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে এবং বিনামূল্যে এদেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁকে আমি সবসময় বলতে শুনি- সেবা, সেবা, সেবা। মানুষের সেবার মধ্যে তিনি খুঁজে পান আনন্দ। ‘মানুষের সেবা করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর।’ - এই কথায় বিশ্বাসী ডাঃ আলমগীর মতি। মানুষের সেবা করার মধ্য দিয়েই তিনি আল্ল­াহর সন্তষ্টি অর্জন করতে চান। তিনি বলেন, আজ আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করছি। এটা আমাদের জন্যে অত্যন্ত সৌভাগ্যের ও গর্বের বিষয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব এদেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির বেগবান ধারায় এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আমরা সকলেই যদি এই অগ্রগতি ও বেগবান ধারায় ডাঃ আলমগীর মতির মতো নিজ নিজ কাজ সুষ্ঠুভাবে করে যাই, তাহলে এদেশ অচিরেই একটি সুউন্নত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই; যে সোনার বাংলার স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশকে নিয়ে দেখেন। আমাদের সকলের কাজের মধ্য দিয়েই সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

মডার্ণ হারবাল ফুড এর এডভাইজার, এসএসটি ট্রেনার ও সিপিএস ফোরামের সভাপতি ডাঃ মোঃ নিয়ামুল বাশার

মডার্ণ হারবাল ফুড এর চীফ এডভাইজার, সিপিএস ফোরামের সভাপতি ডাঃ মোঃ নিয়ামুল বাশার বলেন, আমরা এদেশের মানুষকে হারবালের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে দিতে চাই। এদেশের গাছপালা-গুল্ম-লতা থেকে তৈরি করা আমাদের গবেষণার ফসল, এই খাদ্য-পথ্য-ভেষজ ওষুধ দিয়ে আমরা এদেশের মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে চাই। এদেশের মানুষকে আমরা সুস্থ রাখতে চাই। আমাদের মহান কারিগর, আমাদের মেন্টর, আমাদের পথনির্দেশক কিংবদন্তি হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর মতি আমাদের শিখিয়েছেন- সেবা, সেবা এবং সেবা। তাঁর এই সেবার মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে আমরা সারা বাংলাদেশের মানুষকে তাঁরই উদ্ভাবিত মিরাকুলাস হারবাল প্রোডাক্টগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ-কোটি মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চাই। লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে, সুস্থ থাকতে হলে এমএক্সএন মডার্ণ হারবালের সাথেই থাকতে হবে। আজকে করোনার এই কঠিন সময়েও আমরা পিছিয়ে নেই, আমরা সেই ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষকে আমরা এই বার্তা দিতে চাই যে, এই কঠিন মহামারীতেও যদি আপনারা সুস্থ থাকতে চান, তাহলে এমএক্সএন’র হারবাল পণ্য সেবন করুন। আমাদের আছে নিম, অর্জুন, থানকুনি ইত্যাদি নানাবিধ হারবালের বিপুল ভান্ডার। এগুলোর মাধ্যমে আমরা নিজেরা সুস্থ থাকতে পারি এবং করোনা ভাইরাসকে এসবের মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে পারি। আল্ল­াহর দেয়া হারবাল তরু-লতার মাধ্যমে আমরা করোনা থেকে রক্ষা পেতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা এদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষকে সচেতন করতে চাই। প্রকৃতিই শক্তি, প্রকৃতিই মুক্তি- এই সত্যকে আজ ধারণ করে আমরা সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যেতে চাই।

মডার্ণ হারবালের ডিজিএম মোঃ রুহুল কুদ্দুস

মডার্ণ হারবাল গ্রুপের ডিজিএম রুহুল কুদ্দুস বলেন, সুদীর্ঘ ১৭ বছর আমি হারবাল চিকিৎসার কিংবদন্তি ডাঃ আলমগীর মতি স্যারের সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছি। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো তাঁর সঙ্গে কাটিয়ে আজ ২০২০ সালের এই দিনে উপনীত হয়েছি। অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ এই ২০২০ সালে আমরা সাফল্যের শিখরে আরোহণ করছি শুধুমাত্র ডাঃ আলমগীর মতি স্যারের অনুপ্রেরণায়। করোনা মহামারীর কঠিন সময়েও তিনি একদিনও অফিসে আসা বন্ধ করেননি। এমনই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ডাঃ আলমগীর মতি। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েও তিনি কঠিন মনোবল নিয়ে যথারীতি অফিস করেছেন। মডার্ণ হারবালের কর্মীগণ এবং দেশের মানুষের দোয়ার বরকতে তিনি সুস্থ শরীরে আজও আমাদের মাঝে নিয়ামত হিসেবে আছেন। তাঁর সীমাহীন বিশ্বাস-চেতনা-শক্তি ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। তিনি এমন মহৎপ্রাণ একজন মানুষ যে, আজ পর্যন্ত মডার্ণ হারবালের একজন কর্মীও ছাঁটাই করেননি। কারো বেতন না দিয়ে তিনি রাত্রিযাপন করেননি। এই করোনা মহামারীর মধ্যেও তিনি সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। করোনাকালের মধ্যেও তিনি মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় হারবাল চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ব্রতী হয়েছেন। তিনি একটি অনুপ্রেরণা। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, একটি মহীরুহ। তাঁর ছায়ায় ঠাঁই হয়েছে লক্ষ বেকার যুবকের। তাই তিনি এক অবিনশ্বর নাম। তাঁর আদর্শ ও অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা মডার্ণ হারবালকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।

মডার্ণ হারবাল ফুড এর এডভাইজার ও সিপিএস আবু বকর সিদ্দিক

মডার্ণ হারবাল ফুড এর এডভাইজার ও সিপিএস মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আল্ল­াহর কাছে লাখো-কোটি শুকরিয়া ১৯৮২ সালে মডার্ণ হারবালের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়ে আজ জয়যাত্রায় পল্লবিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় হারবালের প্রবাদপ্রতিম স্বপ্নদ্রষ্টা ডাঃ আলমগীর মতি স্বপ্ন দেখেছেন হারবালের একটি সুউন্নত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার। শুধু স্বপ্ন দেখিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি, স্বপ্নটাকে তিনি বিশ্বাস করেছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন। তাই তাঁর পথ ধরে আমাদেরকেও হাঁটতে হবে। স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। হারবাল জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আমরা আজ সেই জ্ঞান অর্জন করতে এসেছি। ইতোমধ্যে আমরা হারবালের অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের অভিভাবক প্রাকৃতিক চিকিৎসার অগ্রপথিক ডা. আলমগীর মতি স্যারের সুযোগ্য উত্তরসূরি নিয়ামুল বাশার স্যার। তাঁর সুচিন্তিত পরিকল্পনায় আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছি। নিয়ামুল বাশার স্যারের স্বপ্নপূরণে আমরা ২০৩০ সালের আগেই ১ লক্ষ সিপিএস তৈরিতে সক্ষম হব ইনশাআল্ল­াহ। রংধনু এসোসিয়েট থেকে ৮০ হাজার সিপিএস তৈরি করব ইনশাআল্ল­াহ। আমরা বিশ্বাস করি, লক্ষ্যে অবিচল থাকলে স্বপ্ন সফল হবে অবশ্যই।

মডার্ণ হারবাল ফুড এর এডভাইজার ও সিপিএস রুহুল আমিন

মডার্ণ হারবাল ফুড এর এডভাইজার ও সিপিএস মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আমরা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি মানুষের সেবায় আত্মোৎসর্গ করার জন্য। মানুষের সেবা করার মাধ্যমে পৃথিবীতে আমাদের ছাপ রেখে যাওয়ার জন্য। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে একজন নিয়ামুল বাশার হওয়ার জন্য, একজন রুহুল কুদ্দুস, একজন আবু বকর সিদ্দিক হওয়ার জন্য। তাদের মতো মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করে সফল হতে হবে।

সিপিএস ফোরামের জিএস, এসএসটি ট্রেনার এন্ড এডভাইজার খালেদ আখতার

সিপিএস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, এসএসটি ট্রেনার এন্ড এডভাইজার খালেদ আখতার বলেন- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিম, নিশিন্দা, কাঁচা হলুদ আমরা প্রত্যেকেই ব্যবহার করি। আমাদের আদর্শ, আমাদের অনুপ্রেরণা, হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণার প্রাণপুরুষ ডাঃ আলমগীর মতি স্যারের গবেষণার ফসল করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী হারবাল নিম, নিশিন্দা ও কাঁচা হলুদ। কিংবদন্তি ডাঃ মতি স্যারের সুযোগ্য শিষ্য সিপিএস ডাঃ নিয়ামুল বাশার। তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, নিয়ামুল বাশারের ডায়নামিক নেতৃত্ব আমাদের আগামীকে আরও সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে।

সিপিএস ফোরামের সাবেক সভাপতি জুবিলী আহমেদ

সিপিএস ফোরামের সাবেক সভাপতি জুবিলী আহমেদ বলেন- রংধনু এসোসিয়েটস এবং রংপুর বিভাগ থেকে আগত সকল কর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছ। বিখ্যাত হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর মতি বলেছেন, তিনি একজন বৃদ্ধ নাবিক। কিন্তু আজ তিনি ১৮বছরের যুবকের মত প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রত্যেকের সাথে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।

মডার্ণ হারবাল ফুড এর চীফ এডভাইজার, এসএসটি ট্রেনার এন্ড সিপিএস ডাঃ শাহজাহান সাজু

মডার্ণ হারবাল গ্রুপের চীফ এডভাইজার, এসএসটি ট্রেনার ডাঃ শাহজাহান সাজু বলেন, নিয়ামুল বাশার একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, একজন সফল নেতা। আর তাঁর পেছনে আছেন আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় হারবাল জগতের দিকপাল ডাঃ আলমগীর মতি। তাঁদের সুযোগ্য নেতৃত্ব আমাদেরকে হারবাল জয়যাত্রার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। মহৎ হৃদয় ডাঃ আলমগীর মতির সুযোগ্য নেতৃত্বে একদিন এদেশের একজন মানুষও চিকিৎসাহীন থাকবে না, একজন মানুষও বেকার থাকবে না। সেদিন ডাঃ আলমগীর মতি স্যারের আদর্শের বাস্তবায়ন হবে, তাঁর স্বপ্নপূরণ হবে।

মডার্ণ হারবাল এর এডভাইজার মোঃ তারিক বিন হোসেন
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের এডভাইজার মোঃ তারিক বিন হোসেন বলেন, হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণার কিংবদন্তি প্রাণপুরুষ ডাঃ আলমগীর মতি হারবাল সমুদ্রের একজন কান্ডারী নাবিক। তিনি তারুণ্যের শক্তিতে প্রাণচঞ্চল। দুর্বার গতিতে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন হারবালের এই মহান আন্দোলনকে। তিনি আমাদের সাথে থেকে আমাদের জন্যই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর অগ্রযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img