গত ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ক্যাম্পাস পরিচালিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ এর ২২তম ব্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের নক্ষত্র, জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী সাধারণ সম্পাদক, কংগ্রেশনাল বিশেষ এওয়ার্ডসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু সম্মাননায় ভূষিত, লেখক ও গ্রন্থকার মিসেস ফরিদা ইয়াসমিন। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা ও মানবকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ, বর্ণিল গুণাবলির কর্মযোগী ও উদারপ্রাণ সমাজসেবী, ফেস ভিউ ডেন্টাল এন্ড অর্থোডন্টিকস্ এর ফাউন্ডার ডাঃ মোঃ হেলাল উদ্দিন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের সাবেক সচিব, অফিসার্স ক্লাবের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট খন্দকার রাশেদুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি) এর মহাসচিব ড. এম হেলাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পাস’র ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স এর রিসোর্স পারসন এডভোকেট মোঃ গোলাম কিবরিয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণকে পুষ্পমাল্যে বরণ করা হয় এবং উপহার হিসেবে অর্পণ করা হয় ক্যাম্পাস’র জ্ঞানমেলা সিরিজে প্রকাশিত সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, আত্মোন্নয়ন ও জাতি জাগরণমূলক বিভিন্ন বইয়ের সেট, ক্যাম্পাস’র নিজেস্ব গবেষণায় প্রকাশিত ২টি মডেল, বিভিন্ন সিডির সেট ও স্যুভেনির।
এরপর অনুষ্ঠানের অতিথিদ্বয়কে ক্যাম্পাস’র সম্মাননা ক্রেস্ট অর্পণের মাধ্যমে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়। নিজ নিজ অঙ্গনের দু’উজ্জ্বল নক্ষত্র; পেশা ও কর্মের প্রতি একনিষ্ঠ; মানবিকতায় উদার; বর্ণিল গুণাবলি ও বহুমাত্রিক প্রতিভার কর্মযোগী ব্যক্তিত্বদ্বয়ের হাতে ক্যাম্পাস’র সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন সরকারের সাবেক সচিব, অফিসার্স ক্লাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট খন্দকার রাশেদুল হক।
ভালো কাজে পুরস্কার এবং মন্দ কাজে তিরস্কার ক্যাম্পাস’র চিরায়ত রীতি ও আদর্শের আলোকে দু’সদস্যকে দু’টি বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক শব্দ চয়নে পারদর্শিতা দেখানোর জন্য ক্যাম্পাস’র সিঃ উপ-সহকারী পরিচালক রাজিব গুপ্তকে এবং ক্যাম্পেইন-ওয়ার্কশপ উপস্থাপনে বিশেষ নৈপুণ্য দেখানোয় ক্যাম্পাস’র শিক্ষানবিশ জসিম উদ্দিনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ইংলিশ কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা যেন স্মার্ট এন্ড গ্লোবাল ইয়থ জেনারেশনরূপে গড়ে উঠতে পারে, সে কামনায় অতিথিগণের হাতে আশা-জাগানিয়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর এ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় এবং উদ্বোধন শেষে শুরু হয় বক্তৃতাপর্ব।
সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র ফরিদা ইয়াসমিন বলেন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নারীরাও পুরুষের সমতালে এগিয়ে যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি আমি পারি এবং পারব। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সংস্কার ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের উপর জাতির অনেক আশা-ভরসা। আমরা জাতির সেই হৃদস্পন্দনের সাথে যুক্ত রয়েছি। সাংবাদিক হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশনার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে রাখতে হয় ইতিবাচক ভূমিকা। সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সংবাদ মানুষের মনমানসিকতার উপর প্রভাব বিস্তার করে। সংবাদপত্রে নেতিবাচক সংবাদ-প্রতিবেদন প্রকাশ সমাজের ক্ষতি করে, মানুষ বিভ্রান্ত হয়, ভুলপথে পরিচালিত হয়।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন ক্যাম্পাস’র কর্মসূচি আমাকে চমৎকৃত করেছে। তারা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে, যুগের চাহিদা মেটাচ্ছে। ক্যাম্পাস’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে এসেছি। শুধু আজই নয়, ভবিষ্যতেও আসব। সানন্দে গ্রহণ করলাম ক্যাম্পাস’র অভিভাবক-পৃষ্ঠপোষক সদস্যপদ। যা কিছু ভালো, যা কিছু কল্যাণকর, আমি সবসময় তার সাথে থাকার চেষ্টা করি। তাই ক্যাম্পাস পরিবারের সাথেও নিজেকে যুক্ত করলাম।
তিনি বলেন, আমরা ছোটবেলায় পড়েছি সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। এই চিরকালীন নীতিবাক্য আজ পাঠ্যপুস্তকে না থাকলেও এর আবেদন এখনো অটুট। তিনি বলেন তরুণ সমাজের কেউ কেউ বিপথে চলে যাচ্ছে। এজন্য অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। এ থেকে উত্তরণে ছেলেমেয়েদেরকে সেসব নীতিবাক্য শুনাতে হবে। পাঠ্যসূচির বাইরে বিভিন্ন এক্সট্রা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন আমাদের ছাত্র-তরুণদেরকে জীবনমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। ক্যাম্পাস’র ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিং, ফ্রি ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স জীবনমুখী শিক্ষার অনন্য উদাহরণ। শুধু জীবনমুখী শিক্ষাই নয়, প্রোএকটিভ জাতির ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে ক্যাম্পাস’র ছাত্র-তরুণরা বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
ডাঃ হেলাল উদ্দিন
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডাঃ হেলাল উদ্দিন বলেন এতদিন ক্যাম্পাসকে শুধু একটা পত্রিকা হিসেবেই মনে করেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে আমার সেই ধারণা পাল্টে গেছে। ক্যাম্পাস সম্পর্কে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। এ প্রতিষ্ঠান যেভাবে ছাত্র-তরুণদের গড়ে তুলছে, সমাজ পরিবর্তন ও জাতি জাগরণে যেসব কর্মসূচি পরিচালনা করছে, তার তুলনা নেই। আমাকে যে বিষয়টি বেশি আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত করছে, তা হলো ক্যাম্পাস নিজস্ব শক্তিতে চলছে। ক্যাম্পাস’র বহুমুখী কর্মসূচি সমাজে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তরুণ সমাজে জাগিয়েছে দারুণ সাড়া। ইংলিশ কোর্সের প্রতি শিক্ষার্থীদের আবেগ-উচ্ছ্বাস তার প্রমাণ।
তিনি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে আন্দোলন চলছে, ক্যাম্পাস সে আন্দোলনের সহায়ক শক্তি। ক্যাম্পাসকে সহযোগিতা করলে আমাদের দেশ অনেক সমৃদ্ধ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই সমাজসচেতন, দেশদরদি সকল মানুষের উচিত ক্যাম্পাসকে সহযোগিতা করা। ক্যাম্পাস’র জ্ঞানভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের আন্দোলনে আমরা সম্পৃক্ত হব এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
ডাক্তারি পেশা সম্পর্কে হেলাল উদ্দিন বলেন ডাক্তারদের সম্পর্কে যখন সাধারণ মানুষ চিন্তা করে, তখন তাদের মনে ভেসে ওঠে ডাক্তার দেখানোর জন্য দেড়/দু’ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তারপর ডাক্তার দু’এক মিনিট দেখেন, এটুকু দেখার জন্য এত টাকা! ভাবতেই কশাই কশাই মনে হয়! কিন্তু আমরা এটা চিন্তা করি না, ঐ জায়গায় আসতে একজন ডাক্তারের কত সময় লেগেছে, কত পরিশ্রম করতে হয়েছে। বাইরের দেশে ঐ একই মেধার একজন ডাক্তার আরও অনেক বেশি রিটার্ন পাচ্ছেন; আমরা সেটা চিন্তা করলেই ভালো হয়।
তিনি বলেন সবচেয়ে মেধাবীরা ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ আসে। কিন্তু থানা কমপ্লেক্সে যান, একজন সরকারি বিসিএস ডাক্তারের ঠিকমতো বসার জায়গা নেই; তারপরও তিনি প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ রোগী দেখেন। পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো ডাক্তার একসাথে এত রোগী দেখেন না; সর্বোচ্চ ১০/১৫ জন রোগী দেখেন। অথচ তার চেয়ে কম মেধার একজন এসিলান্ড বা টিএনও এর জন্য ৫/৭ জন কর্মচারী থাকে। আমাদের দেশে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নবীন ডাক্তারগণ প্রাণপন চেষ্টা করছেন রোগীকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য। তাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে হবে, তাহলেই সমাজ পাল্টাবে।
সরকারের সাবেক সচিব খন্দকার রাশেদুল হক
খন্দকার রাশেদুল হক বলেন আজকের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন একজন আলোকিত মানুষ। প্রেসক্লাবের ৬৩ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মহিলা সাধারণ সম্পাদকের আসন অলংকৃত করেছেন, এটি কম কথা নয়। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। ফরিদা ইয়াসমিন বর্তমান দায়িত্ব পালন শেষে যেন আরও বড় দায়িত্ব পালন করতে পারে, জাতীয় জীবনে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারে -সে কামনা করি।
খন্দকার রাশেদুল হক বলেন আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, উদ্বোধক হিসেবে ক্যাম্পাস তাঁকে এখানে এনে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে। এটি গুণীজনের সম্মাননায় ক্যাম্পাস’র প্রত্যয়দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন। ক্যাম্পাস এভাবেই গুণীজনদের সম্মাননা দিয়ে তাঁদের ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন ক্যাম্পাস’র কাছে দেশ ও জাতির অনেক প্রত্যাশা, এটি ক্যাম্পাস’র কর্ণধার ড. এম হেলাল ভালো করেই জানেন এবং সে লক্ষ্যে তাঁর নেতৃত্বে বিনামূল্যে ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স, কম্পিউটার কোর্সসহ যুগোপযোগী নানা কার্যক্রম সুন্দরভাবে, সুচারুরূপে পরিচালনা করছেন।
খন্দকার রাশেদুল হক ছাত্র-যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন তোমরা ক্যাম্পাস’র আদর্শকে ধারণ করে এখান থেকে যে বাণী নিয়ে যাবে, কর্মজীবনে তা পালন করবে -এটি আমার বিশ্বাস।
এডভোকেট মোঃ গোলাম কিবরিয়া
ক্যাম্পাস’র ফ্রি ইংলিশ কোর্সের রিসোর্স পার্সন এডভোকেট মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ফরিদা ইয়াসমিন প্রবল প্রতিদ্বন্ধিতা করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেছেন। তিনি নির্বাচিত হয়ে সাংবাদিকতা জগতে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে রেখেছেন অসাধারণ ভূমিকা। তিনি আজকের অনুষ্ঠানে যোগদান করে অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন। জাতীয় প্রেসক্লাব জাতির প্রাণপ্রবাহের সাথে যুক্ত। এর নেতৃত্বে যাঁরা থাকেন, তাঁরা সমাজের আলোকিত মানুষ। জাতি তাঁদের গৌরবে গৌরবান্বিত। অন্যদিকে গেস্ট অব অনার ডাঃ হেলাল উদ্দিন শুধু ডাক্তারি পেশার মাধ্যমে রোগীদের সেবাই করেন না; তিনি পেশার বাইরে সমাজসেবায় সম্পৃক্ত থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। তাঁদের উপস্থিতি প্রশিক্ষণার্থী ছাত্র-তরুণদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছে।
এডভোকেট কিবরিয়া বলেন, ক্যাম্পাস’র ইংলিশ কোর্সের দায়িত্ব নেয়ার আগে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ইংলিশ কোর্স করিয়েছিলাম। কিন্তু সেসব জায়গায় স্থায়ী হতে পারিনি। সেসব প্রতিষ্ঠানে দু’একটি কোর্স যেতে না যেতেই উদ্যোক্তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক মনোভাব দেখা দিত। আর এসব দেখে আমার পক্ষেও সেখানে থাকা সম্ভব হতো না। কিন্তু ক্যাম্পাস এ এসে আমি আমার চিন্তার মিল খুঁজে পেয়েছি। এখানে বাণিজ্যিক মনোভাবে কোনো কাজ পরিচালিত হয় না। ক্যাম্পাস’র সকল কর্মসূচি ফ্রি এবং জনসেবামূলক। এখানে ছাত্র-যুবকদের শুধু নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণই দেয়া হয় না, তাদের মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো হয়।
তিনি বলেন আজকের অনুষ্ঠানের অতিথিদ্বয় যদি ক্যাম্পাস’র কল্যাণকর কর্মসূচির প্রতি তাঁদের সহযোগিতার কল্যাণ-হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে ক্যাম্পাস’র যাত্রাপথ আরও সহজ ও সাবলীল হবে।
ড. এম হেলাল
সিএসডিসি’র মহাসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের অতিথিদ্বয় নিজ নিজ অঙ্গনে অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গনে বিচরণকারী হলেও তাঁদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। মানবাধিকার ও মানবতার প্রতিষ্ঠা তাঁদের ধ্যান-জ্ঞান। জ্ঞানভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাঁরা ক্যাম্পাস’র সহযোদ্ধা।
ড. হেলাল বলেন ছাত্র ও যুব উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে ক্যাম্পাস, যার অন্যতম কর্মসূচি ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস ফর লিডারশিপ কোর্স। এর মাধ্যমে ছাত্র-যুবকদেরকে Smart & global youth generation রূপে গড়ে তুলছে ক্যাম্পাস। এছাড়াও যুগোপযোগী নানা কর্মসূচি পরিচালনা করে সার্টিফাইড ছাত্র-তরুণদের কোয়ালিফাইড করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ক্যাম্পাস’র এসব কর্মসূচিতে আজকের অনুষ্ঠানের অতিথিসহ সমাজের উদারপ্রাণ বিত্তশালীগণ তাঁদের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করবেন বলেন আশা করি।