বিশেষ খবর



Upcoming Event

ক্যাম্পাস পরিচালিত ডায়নামিক কম্পিউটার কোর্স সনদ বিতরণে ইসলামী ব্যাংক এর চেয়ারম্যান আরাস্তু খান

ক্যাম্পাস ডেস্ক ক্যাম্পাস’র অনুষ্ঠান
img


১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ক্যাম্পাস পরিচালিত ফ্রি ডায়নামিক কম্পিউটার কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও ব্যাংক ব্যাস্থাপনায় সুদক্ষ, বহুমুখী প্রতিভা ও বর্ণিল গুণাবলির কর্মযোগী, গ্রীন এন্ড ক্লিন এডমিনিস্ট্রেটর, সরকারের সাবেক চৌকস ও মেধাবী সচিব, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক এর ডায়নামিক চেয়ারম্যান আরাস্তু খান।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি) এর মহাসচিব ড. এম হেলাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ড. সোহেল আল বিরুনী; সরকারের সাবেক যুগ্মসচিব আবদুর রশিদ খান; ক্যাম্পাস’র ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স এর রিসোর্স পার্সন এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া এবং কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টা ছড়াকার মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে পুষ্পমাল্যে বরণ করে নেয়া হয় এবং তাঁকে উপহার হিসেবে অর্পণ করা হয় ক্যাম্পাস’র জ্ঞানমেলা সিরিজে প্রকাশিত সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, আত্মোন্নয়ন ও জাতি জাগরণমূলক বিভিন্ন বইয়ের সেট; ক্যাম্পাস’র নিজস্ব গবেষণায় প্রকাশিত ২টি মডেল, বিভিন্ন সিডির সেট ও স্যুভেনির। ইসলামী ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রাজ্ঞ, বলিষ্ঠ ও ডায়নামিক নেতৃত্ব দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী জনাব আরাস্তু খানকে ক্যাম্পাস’র সম্মাননা ক্রেস্ট অর্পণ করেন সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল।
কম্পিউটার কোর্স সম্পন্নকারীরা যেন স্মার্ট এন্ড গ্লোবাল ইয়থ জেনারেশনরূপে দেশ ও জাতির অন্ধকার দূরীকরণে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে, সে কামনায় প্রধান অতিথির হাতে আশা-জাগানিয়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথি কম্পিউটার কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। সনদ বিতরণ শেষে শুরু হয় বক্তৃতাপর্ব।
সততার ওপর কোনো কথা নেই সততার শক্তি অন্যরকম
-আরাস্তু খান

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, সততা ও নীতিনিষ্ঠায় প্রোজ্জ্বল আরাস্তু খান বলেন ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন থেকেই পত্রিকা প্রকাশসহ এত্তসব সমাজ উন্নয়নমূলক কাজ করছে, তা লক্ষ্য করে আমি আশান্বিত হয়েছি। তাঁর কাজের জন্য আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করছি। কর্মজীবনে অফিসের দরজায় ও গেটে দেখেছি ক্যাম্পাস’র সুন্দর সুন্দর যুগোপযোগী সেøাগান ও বাণী ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ বয়কট করি আজ; ঘুষ খাব না, ঘুষ দেব না; কথা কম বেশি কাজ আমাদের সবার দাবি আজ; অন্যকে সাহায্য করতে থাকুন, আপনার সমস্যাও কেটে যাবে প্রভৃতি। এখানে এসে দেখি ক্যাম্পাস দেশের জন্য দশের জন্য আরও অনেক কাজ করছে। ড. হেলাল এর নেতৃত্বে পরিচালিত ক্যাম্পাস’র কার্যক্রমগুলো দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও প্রাগ্রসর অভিযাত্রায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ছাত্র-তরুণদের নিয়ে ক্যাম্পাস’র যুগোপযোগী কর্মসূচিগুলো সত্যিই আশাব্যঞ্জক। স্কুল-শিক্ষাকে কেন্দ্র করে ড. হেলালের আরেকটি আশাব্যঞ্জক কাজ আমার খুব ভালো লেগেছে; সেটি হলো এলাকাভিত্তিক স্কুলিং মডেল প্রণয়ন। বিদেশে দেখেছি, বাচ্চারা যে এলাকায় থাকে তারা সেই এলাকার স্কুলেই ভর্তি হয়। এতে তারা নিরাপদে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে পারে, যানজট সৃষ্টি হয় না, অর্থ-শ্রম ও সময় অপচয় হয় না, শ্রেণি-বৈষম্য দূর হয়। এ পদ্ধতি আমাদের দেশেও চালু হওয়া দরকার। ক্যাম্পাস’র এসব গণমুখী ও ডায়নামিক কার্যক্রমে আমরা সকলেই হাত মেলাতে পারি।
আরাস্তু খান আরও বলেন ছাত্র-জীবনে কিংবা কর্ম-জীবনে কোনো দিনই আমি সময়কে অবহেলা করে কাজ ফেলে রাখিনি। কাজকে উপযুক্ত মনে করে সময়ের কাজ সময়েই করেছি। সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ছাত্র-যুবকদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা দেয়া জরুরি। আমি আমার গ্রামেও কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি, যাতে ছাত্র-সমাজ প্রযুক্তির যুগে পিছিয়ে না থাকে। ক্যাম্পাস পরিচালিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ, ফ্রি সেমিনার অন প্রোএকটিভ এন্ড পজিটিভ এটিচিউড কোর্সগুলো আধুনিক এবং অত্যন্ত কার্যকর। এসব কোর্স ছাত্র-যুব সমাজের জন্য প্রয়োজন। সমাজের এতসব উন্নয়নমূলক কাজ ক্যাম্পাস করছে, আমাদেরও উচিত ক্যাম্পাসকে সহযোগিতা করা।
ড. সোহেল আল বিরুনী
গাজীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ড. সোহেল আল বিরুনী বলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিক জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন। কম্পিউটার হলো আলোর পথ, জ্ঞানের জানালা। অন্ধকার জীবন থেকে আলোকিত পথ দেখায় কম্পিউটার, তাই ছাত্র-যুবকদের কম্পিউটার শিক্ষা জরুরি। ক্যাম্পাস’র পরিচালনায় আজ যারা কম্পিউটার কোর্সে সনদ নিয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর ও কর্মময় হবে, এটি আমার বিশ্বাস। ছাত্র-যুবকদেরকে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দেয়ার জন্য ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলালকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আবদুর রশিদ খান
সরকারের সাবেক যুগ্মসচিব আবদুর রশিদ খান বলেন আজকের অনুষ্ঠানে যিনি প্রধান অতিথি তিনি অনেক মেধা ও প্রজ্ঞার অধিকারী। তিনি মেধা দিয়ে, কর্ম দিয়ে শীর্ষ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানেই সফল হয়েছেন। তবে দেশ ও জাতির জন্য তিনি যতটা করেছেন, ততটার রিটার্ন পাননি। আমরা দোয়া করি, তিনি যেন শতায়ু হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে থাকেন। আজ প্রধান অতিথির হাত থেকে যারা সনদ নিয়েছে, তারাও একদিন দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
এডভোকেট মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া
ক্যাম্পাস পরিচালিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ এর রিসোর্স পার্সন এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৪ হাজারের অধিক ছাত্র-যুবককে ক্যাম্পাস বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুগের চাহিদা বাস্তবায়নে ক্যাম্পাস নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশের সার্টিফাইড ছাত্র-যুবকদের কোয়ালিফাইড করতে ক্যাম্পাস নানা ধরনের কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এসব কর্মসূচিতে তারা পাচ্ছে আলোকিত জীবনের সন্ধান। ক্যাম্পাস’র এসব কর্মসূচি ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার জন্য উত্তরায় স্টাডি সেন্টার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ক্যাম্পাস’র এসব কল্যাণকর কর্মসূচি এগিয়ে নিতে আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ সমাজের কল্যাণকামী-বিত্তশালী ব্যক্তিত্বগণ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
ড. এম হেলাল
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল বলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম থাকা সত্ত্বেও আমাদের প্রশিক্ষণার্থীদের উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠানে এসেছেন। এতে প্রমাণিত হয় ছাত্র-তরুণ সমাজের প্রতি তাঁর আকর্ষণ কত এবং তিনি তাদের দেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ততা দেখতে চান। আজকের প্রধান অতিথি শুধু ব্যাংকিং সেক্টরেই নয়, তিনি সরকারের বাজেট প্রণয়নেও বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ইসলামী ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্বলাভ করে ন্যায়নিষ্ঠ ও সুদক্ষভাবে সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ইসলামী মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে প্রচলিত ব্যাংক রীতিকে আধুনিকায়নে কার্যকর রেখেছেন। তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা খাতকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ড. এম হেলাল আরও বলেন ক্যাম্পাস ডায়নামিক কম্পিউটার কোর্সের লক্ষ্য শুধু কম্পিউটার শেখানোই নয়, এ কোর্সের মাধ্যমে পরিবর্তিত বিশেষ মানুষ গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য। কম্পিউটার থেকে যেমন খারাপ প্রোগ্রাম ডিলিট করে ভালো প্রোগ্রাম ইনসার্ট করা যায়, তেমনি বিশাল কম্পিউটাররূপী মানব-মস্তিস্ক থেকেও নেগেটিভ বা খারাপ চিন্তা ডিএক্ট করে প্রোএকটিভ ও পজিটিভ এটিচিউডের উন্নততর বিশেষ মানুষ গড়ে তোলা যায়। কম্পিউটার ট্রেনিং ছাড়াও যুগোপযোগী নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাত্র-তরুণদের আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে গড়ে তুলছে ক্যাম্পাস। তাই ক্যাম্পাস’র এসব কল্যাণ-কর্মসূচিতে উদারপ্রাণ বিত্তশালীগণ তাঁদের সহযোগিতার হাত সম্পসারিত করবেন বলে আশা করি।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img