বিশেষ খবর



Upcoming Event

প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে বস্তা বস্তা অভিযোগ জমা পড়েছে -দুদক চেয়ারম্যান

ক্যাম্পাস ডেস্ক শিক্ষা সংবাদ
img

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষকদের পেনশনের কাগজপত্র তৈরি করতে, শিক্ষকদের বদলি, নারী শিক্ষকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, অর্জিত ছুটি নিতে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়। এ রকম প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় টিও, এটিওসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বস্তা বস্তা অভিযোগ অফিসে জমা পড়েছে। তিন মাস অপেক্ষা করব। এরপর আর সময় দেয়া হবে না।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। প্রাথমিক শিক্ষায় সুশাসন নিশ্চিতকরণে চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধবিষয়ক ওই সভায় দুদক চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি ছিলেন। নগরের আইস ফ্যাক্টরি সড়কের পিটিআই অডিটরিয়ামে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সভার আয়োজন করে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আগামী এক বছরের কর্মকৌশল তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী এগোচ্ছে প্রতিরোধ কার্যক্রম। প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি হয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষায় বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে শিক্ষকদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে মনোনয়নের জন্য আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ, কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে পাঠদান না করে প্রাইভেট পড়ান কিংবা ব্যক্তিগত অন্যান্য কাজে লিপ্ত থাকেন, এ ক্ষেত্রে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে দেখেও না দেখার ভান করে থাকার প্রবণতার অভিযোগ রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ প্রশ্ন করেন, আপনারা কি এ অভিযোগ মানেন? শিক্ষা কর্মকর্তারা উত্তরে বলেন ‘না’। এ সময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তাহলে এসব অভিযোগ দুদক অফিসে কিভাবে আসল? চাকরি নয়, শিক্ষার মিশন নিয়ে কাজ করতে হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হওয়া দরকার। গত এক বছর ছোট, বড় ও মাঝারি রকম দেখেছেন। সবাইকে আইনের আওতায় যেতে হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ উজ জামান ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর ও রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img