শিক্ষাখাতে আমরা কিছু সাফল্যলাভ করেছি, বছরের প্রথম দিন শিশু-শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারছি; শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই খুশি। এছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জেন্ডার সমতা আনতে সরকার সমর্থ হয়েছে। এখন শ্রেণিতে ছেলে-মেয়েদের অবস্থান প্রায় সমান সমান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এসবই ভালো লক্ষণ, শিক্ষাঙ্গনে একশ্রেণির প্রভাবশালী লোক সরকার-গৃহীত ভালো ভালো প্রকল্পগুলো ভন্ডুল করে দিচ্ছে। নোটবই নিষিদ্ধ করার পর প্রভাবশালীরা আরও সুদৃশ্য-আকর্ষণীয় গাইড বই বের করে বাজার সয়লাব করে দিয়েছে।
এরপর শিক্ষাঙ্গনে দেখা যায়, কোচিং-বাণিজ্য এখন সারাদেশে জুড়ে চলছে এর রমরমা ব্যবসা। শুধু রাজধানী নয়, বিভাগীয় শহর, জেলাশহরও কোচিং-জ্বরে ভুগছে। নোট বইয়ের বিরুদ্ধে সরকার যেরূপ কড়া সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন কোচিং এর বিরুদ্ধেও তাদের হুশিয়ারির উত্তাপ কম ছিল না। কিন্তু কার্যত দেখা গেলো কোচিং ওয়ালারা তাদের ব্যবসা দুর্দান্তভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকরাও কোচিং জ্বরে আক্রান্ত। তাদের ধারণা সন্তানদের কোচিং না করালে তারা জিপিএ-৫ গোল্ডেন জিপিএ- পাবে না, ক্লাস টিচাররা কম নম্বর দিয়ে তাদের সন্তানদের পেছনে ফেলে দেবেন।
শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে অভিভাবকদের কাছে পরামর্শ পাঠানো হয়েছে তারা যেন তাদের সন্তানদের কোচিং এর কবল থেকে বের করে এনে আত্মনির্ভরশীলতা ও সৃজনশীলতার পথে নিয়ে আসেন। কিন্তু অভিভাবকগণ এ উপদেশে কর্ণপাত করছেন না, তারা কোচিং ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না। মূলত অভিভাবকদের অসহযোগিতার কারণে সরকারের কোচিং-বিরোধী পদক্ষেপ সফল হতে পারছে না।
সন্তানদের কোচিং এ পাঠিয়ে অভিভাবকরা তাদেরকে পরনির্ভরশীল করে তুলছেন, তাদের মেধাবিকাশের সুযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠছে না। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার সাময়িক সুযোগ থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীরা মেরুদন্ডহীন হয়ে গড়ে উঠবে। এখনও জিপিএ-৫ ধারী ছাত্র-ছাত্রীরা নামিদামি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষায় ফেল করছে, এঘটনা সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে। এতেও মোহাবিষ্ট অভিভাবকদের চোখ খুলছে না।
শিক্ষকরা ক্লাসে ঠিকমত পড়ান না বলে অভিভাবকগণ ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে পাঠাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে- শিক্ষক ক্লাসে পাঠদান ক্লিয়ার না করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তার কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে বলেন। অভিভাবক তখন সমস্যায় পড়ে যান- সাত পাঁচ ভেবে তাকে কোচিং সেন্টারের কানাগলির আশ্রয়ে যেতে হয়।
নোটবই বন্ধে ব্যর্থতার পর কোচিং বন্ধে সরকারের ব্যর্থতা শিক্ষাব্রতী-শিক্ষাপ্রেমী মানুষকে হতাশ করেছে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও শিক্ষাপ্রশাসনে সরকার কেন ব্যর্থতার গ্লানি বহন করবেন! সরকার মহৎ উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়ন করেন, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনও সেক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা মেনে নেয়া যায় না। গাইড নামধারী মিসগাইড থেকে দেশের ছাত্রসমাজকে রক্ষা করতে হবে। কোচিং সেন্টার রক্ষার জন্য কলকাঠি নাড়াচ্ছেন সেই প্রভাবশালীদের ক্যাচিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
শিক্ষাঙ্গন আবর্জনামুক্ত, জঞ্জালমুক্ত হলে গড়ে উঠবে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ, নিশ্চিত হবে কোয়ালিটি শিক্ষা। শিক্ষিত-আলোকপ্রাপ্ত সুশীল সমাজকে শিক্ষাসমস্যা নিয়ে মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষান্নোয়নের পথে এ যাবৎকালের সকল জট খুলে দিতে হবে। জয় হোক সুশিক্ষার, বিকশিত হোক আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন!
কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি আর কোচিং বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালা কোনো কিছুতেই কোচিংবাজ শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য ঠেকানো যাচ্ছে না। রাজধানীসহ সারাদেশে কোচিংয়ের সেই পুরনো চিত্র। বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য সরগরম। এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের নামে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দিয়েছেন। বরাদ্দপ্রাপ্ত কক্ষে শিক্ষকরা কোচিং করাচ্ছেন। ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বাইরের শিক্ষার্থীরা কোচিং করছেন। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতায় রমরমা কোচিং-বাণিজ্য চলছে।
সম্প্রতি এক সেমিনারে আইন করে কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে জনমত গঠন করে তবেই তা করতে হবে।
গতবছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মতবিনিময় সভায় অধ্যক্ষরা কোচিং সেন্টার বন্ধের এ দাবি জানান।
দাবি শুনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, হঠাৎ করেই কোচিং সেন্টার বন্ধ করা যাবে না। এ ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। একটা পর্যায়ে এসে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।
কোচিংকে নৈতিকতাবিরোধী উল্লেখ করে তিনি কোচিং সেন্টারের মালিকদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা হাবিব বলেন, আইন করে কোচিং বন্ধ করতে হবে। শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে জোর দিতে হবে।
উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোয়োজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া বলেন, টিউশনি বন্ধ না করলে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ করা যাবে না। কোচিং-এর সময়ই এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশ থেকে দোকানপাট তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আয়েশা বেগম। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে দোকানপাট থাকায় সন্ধ্যার পর সেখানে মাদকের আড্ডা বসে।
অধ্যক্ষরা শিক্ষকদের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা, অভিভাবকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের সাইবার ক্যাফেগুলো বন্ধ করা এবং ভিনদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
কয়েকজন অধ্যক্ষ কোচিং বন্ধ করে বন্ধের দিন অথবা প্রতিষ্ঠান ছুটি শেষে স্কুল-কলেজেই কোচিং ব্যবস্থা চালুর পক্ষে মত দেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জানান, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কতটি শাখা থাকতে পারে সে বিষয়ে ভেবে দেখতে হবে। একাধিক শাখা থাকার কারণে অধ্যক্ষ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
সৃজনশীল পদ্ধতি কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তিনি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়ানো দরকার বলেও মত দেন তিনি।
কোচিং-এর সঙ্গে যে সব শিক্ষক সম্পৃক্ত তাদের তালিকা জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের জানান, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
তাদের বক্তব্যের সূত্র ধরে শিক্ষামন্ত্রীও কোচিং সেন্টার পরিচালনা ও কোচিংয়ে পড়ানো ‘অনৈতিক’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, একই শিক্ষক ক্লাসে পড়াচ্ছেন না, আবার কোচিংয়ে ভালো পড়াচ্ছেন। এটা নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ।
শিক্ষকদের বোঝাতে হবে, তারা যেন ক্লাসেই শিক্ষার্থীদের পড়া বুঝিয়ে দেন -বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
কোচিং সেন্টার বন্ধের আইন করতে অধ্যক্ষদের দাবি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা হলো, এখনই এটি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে এটি বেশিদিন চলতেও দেয়া যাবে না। একসময় গুটিয়ে নিতে হবেই।
বাড়িতে বা ঘর ভাড়া করে কোচিং খোলা বা পড়ানো নৈতিকতা বিরোধী বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভালো স্কুলগুলোকে পিছিয়ে পড়া স্কুলের জন্য আদর্শ বলা হলেও ওই ভালো স্কুলের শিক্ষার্থীরাই বেশি কোচিংয়ে পড়ে। কারণ ভালো স্কুলের অভিভাবকদের টাকা-পয়সাও বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিজেরা পাড়ায় পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে কোচিং না খুলে স্কুলেই অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারেন। স্কুল-কলেজের অভিভাবক ও ম্যানেজমেন্ট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পিছিয়ে পড়াদের জন্য এ ধরনের ক্লাস নেয়া যেতে পারে। তবে কোনও শিক্ষার্থীকেই সেখানে পড়ার জন্য চাপ দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের প্রায় সাড়ে আট হাজার স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার প্রকল্প চালু হয়েছে। এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে।
নাহিদ বলেন, অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের ঘণ্টাপ্রতি ১৭৫ টাকা ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীর মতো অহেতুক পাবলিক পরীক্ষার বোঝা কোচিং বাণিজ্যকে আরো উৎসাহিত করেছে। সমালোচনায় পঞ্চম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষা উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অভিভাবকরা এ-প্লাস, গোল্ডেন এ-প্লাসের খপ্পরে পড়ে কোচিংয়ের পেছনে ছুটছেন। কোচিং দৌরাত্ম্যে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কোচিংবাজ শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। রাজধানীর নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচিংবাজ শিক্ষকরা শিক্ষা বছরের শুরুতে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কোচিংগুলোতে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে, নতুন বছরে কোচিং ফি বাড়ছে। বাজার চড়া, বাড়ি ভাড়া বেড়েছে তাই বাড়ানো হয়েছে কোচিং ফি।
সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার কোনো শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না বলে কোচিং বন্ধে নীতিমালা জারি করে সরকার। ওই নীতিমালায় বলা হয়, শিক্ষকরা বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারেও পড়াতে পারবেন না। অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন। দেখা গেছে, কাজীর গরু কেতাবে আছে কিন্তু গোয়ালে নেই। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর হাই স্কুল, রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল, উত্তরা হাই স্কুল, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল সরকারি বয়েজ স্কুল, মতিঝিল সরকারি গার্লস স্কুল, কামরুন্নেসা সরকারি গার্লস স্কুল, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ধানম-ি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল, সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স হাই স্কুল, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচিংবাজ শিক্ষকরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজকে কেন্দ্র করে সিদ্ধেশ্বরী এলাকা ও এর আশপাশে বিভিন্ন ফ্ল্যাট ভাড়া করে বিভিন্ন শিক্ষক কোচিং সেন্টার চালান। মনিপুর হাই স্কুলের মূল ক্যাম্পাস এবং শাখাগুলোর আশপাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার। এসব কোচিংয়ের কোনোটির মালিকানা শিক্ষকদের সরাসরি, আবার কিছু রয়েছে পরোক্ষভাবে তারা তাদের স্ত্রী, ভাই, শ্যালকসহ নিকটাত্মীয়দের দিয়ে চালাচ্ছেন। মতিঝিল, বাসাবো, মুগদা, ফার্মগেট, ইন্দিরা রোড, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা এলাকায় ভাড়া করা ফ্ল্যাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের গড়া কোচিং সেন্টারের জন্য এলাকাগুলো বিখ্যাত। নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা লাগিয়ে গলাকাটা ফি নিয়ে কোচিং করাচ্ছেন কোচিংবাজ শিক্ষকরা। প্রতিমাসে মাত্র আটটি ক্লাস। বাংলা বিষয়সহ যেসব বিষয়ে কেবল বাসায় অধ্যয়ন করলেই ভালো ফলাফল করা সম্ভব সেসব বিষয়েও কোচিং করছে শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু অভিযোগ করেন কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে সরকারের সদিচ্ছা নেই। তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে কোচিং বন্ধে নীতিমালা জারি করেই দায় এড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোচিং বন্ধে মনিটরিংয়ের জন্য জেলা, উপজেলা ও বিভাগ পর্যায়ে যে কমিটি থাকার কথা বলা হয়েছে তা কোথাও নেই বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোচিংবাজ শিক্ষকরা কোচিং-বাণিজ্য চালাচ্ছেন। রমজানের ছুটিতে বন্ধ থাকা স্কুলের শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ নিয়ে কোচিং-বাণিজ্য চালাচ্ছেন শিক্ষকরা।
কোচিং-বাণিজ্য প্রসঙ্গে সংসদে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে মনিটরিং কমিটি কাজ করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে কোচিং-বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।